বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে স্টুডেন্ট ফাইল খোলার নিয়ম কানুন
বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে স্টুডেন্ট ফাইল খোলার নিয়ম কানুন
বাংলাদেশী নাগরিকদের
নিয়মিত কোর্স
যেমন স্নাতক,
স্নাতকোত্তর, ভাষা কোর্সে স্নাতক
ডিগ্রী এবং
পেশাদার ডিপ্লোমা/সার্টিফিকেট কোর্সের
প্রাক-প্রয়োজনীয়
কোর্সে বাংলাদেশী
নাগরিকদের ভর্তি
ও অধ্যয়নের
জন্য বাংলাদেশ
ব্যাংকের পূর্বানুমতি
প্রয়োজন হয় না।
উপরোল্লিখিত বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে
অবাধে বাংলাদেশি
শিক্ষার্থীরা বিদেশের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের
উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের
যেকোনো ব্যাংকের
এডি শাখায়
স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন
এর মাধ্যমে টিউশন ফি
এবং আনুষঙ্গিক
খরচাদি বৈদেশিক
মুদ্রায় পরিশোধ করতে পারে
। বিদেশে অধ্যয়নের
জন্য স্কুল পর্যায়ে
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের
অধ্যয়নের জন্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের
পূর্বানুমতি প্রয়োজন ।
আবেদনে
সাথে নিম্নলিখিত দলিলাদির প্রয়োজন
(১) আবেদন এবং
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
(ক) আবেদন (পরিশিষ্ট 5/82) যথাযথভাবে পূরণ
করা;
(খ) শিক্ষার্থীর অনুকূলে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
কর্তৃক জারিকৃত
ভর্তি পত্রের (Offer Letter) মূল এবং
ফটোকপি (যেমন মার্কিন প্রতিষ্ঠানের
ক্ষেত্রে I-20);
(গ) সংশ্লিষ্ট শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান কর্তৃক
জারি করা
বার্ষিক টিউশন
ফি, একোমোডেশন এবং
লিভিং কস্ট,
বীমা, আনুষঙ্গিক খরচ
ইত্যাদি সম্পর্কিত
অনুমানের (প্রাক্কলন)মূল
এবং ফটোকপি
(মার্কিন প্রতিষ্ঠানের
ক্ষেত্রে I-20);
(ঘ) আবেদনকারীর পূর্ববর্তী
শিক্ষাগত যোগ্যতার
সনদ পত্রের সত্যায়িত কপি;
এবং
(ঙ) বৈধ পাসপোর্ট
।
আবেদনকারী
যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে নিজেই অফার লেটার
সংগ্রহ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে কোন এজেন্ট
এর দরকার হয় না।বৈদেশিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার সংগ্রহের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে
অবশ্যই যে সকল বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে সেগুলি হল : রিফান্ড পলিসি এবং টিউশন ফির
পরিমাণ এবং লিভিং কষ্টের পরিমাণ ইত্যাদি । যা পরবর্তীতে বিদেশে রেমিটেন্স করার ক্ষেত্রে
ব্যাংক তার স্বীয় বিবেচনায় স্টুডেন্ট ফাইল
এর বিপরীতে লিমিট ধার্য করে ।
অফার
লেটারে অগ্রিম কোন অর্থ পরিশোধের বিধান থাকলে
তা সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে যথা: বৈদেশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অর্থ প্রদান
অথবা বৈদেশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশক্রমে
শিক্ষার্থীর ব্লক একাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা
ট্রানস্ফার ।
অগ্রিম
অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যদি কোনো কারণে ভিসা পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে কিভাবে
পরিশোধিত অর্থ ফেরত প্রদান করা হবে তা শিক্ষার্থীকে এবং ব্যাংকে সুস্পষ্টভাবে অবগত
হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই ক্ষেত্রে অফার লেটার অথবা
শিক্ষার্থীর অনুকূলে ইস্যুকৃত ইনভয়েস এ বিষয়টি উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়।
প্রতি সেমিস্টারে
টিউশন ফি
অর্থ পরিশোধের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশে
অবস্থিত শিক্ষার্থীর
অভিভাবক কে
যে সকল
কাগজপত্র সহ
ব্যাংকে আবেদন
করতে হয়
তা হচ্ছে
পূর্ববর্তী সেমিস্টার
পাশের প্রমানক
, TM ফর্ম (TM ফর্ম হল বাংলাদেশ
ব্যাংক কর্তৃক
আউট ওয়ার্ড
রেমিটেন্স রিপোর্টিং ফরমেট) এবং সেমিস্টারের
নির্ধারিত টিউশন ফির ইনভয়েস।
একজন
শিক্ষার্থী
যা
যা
করতে
পারেন
(ক)
স্টুডেন্ট ফাইলে নির্ধারিত পরিমাণ
এর বাইরে
বাংলাদেশ ব্যাংক
কর্তৃক নির্ধারিত
ট্রাভেল কোটা পাসপোর্ট
এন্ডোস এর
মাধ্যমে বৈদেশিক
মুদ্রা প্রতিবার
বিদেশ গমনের
সময় নিয়ে
যেতে পারেন।
(খ)
শিক্ষার্থী
লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং ব্যাংকের সম্মতিক্রমে
: এক ব্যাংকের এডি শাখা থেকে অন্য
ব্যাংকের এডি শাখায় স্টুডেন্ট ফাইল স্থানান্তর।
(গ)
ব্যাংকের সম্মতিক্রমে অধ্যায়নরত বিষয়ে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারেন
সেক্ষেত্রে অবশ্যই যুক্তিযুক্ত কারণ সহকারে ব্যাংকের লিখিত আবেদন করতে হবে।
(ঘ)
শিক্ষার্থীর অভিভাবকের NFCD/RFCD অ্যাকাউন্ট (যদি থাকে) থেকে বৈদেশি মুদ্রা স্টুডেন্ট
ফাইল মাধ্যমে স্থানান্তর করা।
(ঙ)
Consular Fees, visa fee বৈদেশিক
মুদ্রায় পরিশোধ।
( চ) একটি কোর্স শেষ করার পর নতুন উচ্চতর কোর্সের
জন্য স্টুডেন্ট ফাইল খোলা।
ভিসা
প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর করণীয়
(ক)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত টিউশন
ফি ও
অন্যান্য খরচ
বহন করতে
সক্ষম এর
প্রমাণস্বরূপ ব্যাংক
একাউন্টে সমপরিমাণ
অর্থ জমা
; তার
প্রমাণ হিসেবে
ব্যাংক
থেকে বৈদেশিক
মুদ্রায় সলভেন্সি
সংগ্রহ করা।
(খ)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে IELTS এর প্রয়োজন না হলেও IELTS এর স্কোর দূতাবাস নির্ধারিত কাগজ পত্রের সাথে সংগ্রহ
করে। যদি ইংলিশ মাধ্যমে কোর্স টি পড়ানো হয় তা হলে অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে
বিবেচিত হয়।
(গ)
ভিসা প্রাপ্তির পর স্টুডেন্ট ফাইল মেনটেনেন্স ব্যাংকে অবহিত করা এবং নথি সংরক্ষণ।
আবেদন (পরিশিষ্ট 5/82) : https://www.siblbd.com/assets/downloads/Student-File-Form.pdf
Comments
Post a Comment